জীবন বিজ্ঞান

মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ

মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণ 

মানুষের দেহে 23 জোড়া অর্থাৎ 46 টি ক্রোমােজোম থাকে । এই 23 জোড়া ক্রোমােজোমের মধ্যে 22 জোড়া অটোজোম অর্থাৎ দেহস্থ বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রকারী ক্রোমােজোম এবং একজোড়া অর্থাৎ দুটি সেক্স ক্রোমােজোম । এই একজোড়া সেক্স ক্রোমােজোম দ্বারাই মানুষের লিঙ্গ নির্ধারিত হয়ে থাকে । পুরুষের ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমােজোম দুটিকে x এবং y অক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে । কারণ দুটো ক্রোমােজোমের মধ্যে গঠনগত বৈসাদৃশ্য বর্তমান । 

অর্থাৎ পুরুষের ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমোজাম দুটি হল ‘ xy ‘ । মহিলার ক্ষেত্রে সেক্স ক্রোমােজোম দুটি হল ‘ xx ’ অর্থাৎ ক্রোমােজোম দুটির মধ্যে কোনাে গঠনগত বৈসাদৃশ্য থাকে না । মিয়ােসিস কোশ বিভাজনের মাধ্যমে জননকোশ গঠিত হওয়ায় পুরুষের ক্ষেত্রে অর্ধেক সংখ্যক শুক্রাণু x ক্রোমােজোম বিশিষ্ট এবং বাকি অর্ধেক সংখ্যক শুক্রাণু y ক্রোমােজোম বিশিষ্ট হয় । মহিলাদের ক্ষেত্রে মিয়ােসিস কোশ বিভাজনের ফলে সৃষ্ট জননকোশ বা ডিম্বাণুতে একটি করে ‘x‘ ক্রোমােজোম থাকে । অর্থাৎ মহিলাদের লিঙ্গ ক্রোমােজোমের চরিত্র এক হওয়ায় লিঙ্গ নির্ধারণের ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনাে ভূমিকা নেই ।  

x ক্রোমােজোম বিশিষ্ট ডিম্বাণুর সঙ্গে ‘ y ‘ ক্রোমােজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুর মিলন ঘটলে পুত্রসন্তান এবং ‘ x ‘ ক্রোমােজোম বিশিষ্ট ডিম্বাণুর সঙ্গে ‘ x ‘ ক্রোমােজোম বিশিষ্ট শুক্রাণুর মিলন ঘটলে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে ।

error: Content is protected !!