অভিযোজন ও অভিব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক

অভিযোজন ও অভিব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক

সকল জীবই পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে প্রয়ােজন মতাে নিজের দৈহিক শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে । যে সকল জীব নিজেদের দৈহিক শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে পরিবর্তিত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে উপযােগী করে তুলতে পারে তাদের অস্তিত্বই বজায় থাকে , অন্যদের অস্তিত্ব লুপ্ত হয় । অভিযােজিত নতুন বৈশিষ্ট্য বংশপরম্পরায় প্রবাহিত হওয়ার ফলে , অভিব্যক্তি বা বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির আবির্ভাব ঘটে । 

আবার কোনাে বৈশিষ্ট্য অভিযােজনের ফলে অবলুপ্ত হলে তা পুনরায় ফিরে আসে না । যেমন — কোনাে এক অতীতে স্তন্যপায়ী প্রাণী তিমি স্থলচর ছিল এবং স্থলে বসবাসের উপযােগী শ্বাস অঙ্গ ফুসফুস গঠিত হয়েছিল কিন্তু পরিবর্তিত পরিবেশে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য অর্থাৎ প্রাকৃতিক নির্বাচন তিমিকে জলে বাস করতে বাধ্য করলেও শ্বাস অঙ্গ ফুসফুসই রয়ে গিয়েছে , ফুলকায় পরিণত হয়নি । অন্যান্য বৈশিষ্ট্য জলে বাস করার উপযােগী হয়েছে । অর্থাৎ বিবর্তনের প্রয়ােজনে নিজের বৈশিষ্ট্য অভিযােজিত করতে না পারলে তিমির অস্তিত্ব অবলুপ্ত হয়ে যেত । 

সুতরাং এটা স্পষ্ট অভিযােজন এবং অভিব্যক্তি পরস্পর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত । বলা যেতে পারে অভিযােজন হল অভিব্যক্তির কারণ এবং অভিব্যক্তি হল অভিযােজনের ফল

error: Content is protected !!