জীবন বিজ্ঞান

গ্রেজিং খাদ্য শৃঙ্খল কাকে বলে

গ্রেজিং খাদ্য শৃঙ্খল কাকে বলে

এই খাদ্য শৃঙ্খল উদ্ভিদ থেকে শুরু হয় এবং শাকাশীর মাধ্যমে মাংসাশীতে শেষ হয় । অর্থাৎ যেকোনাে একটি বাস্তুতন্ত্রের প্রাথমিক উৎপাদনের ভাগ্য তিনভাবে নির্ধারিত হয় । সামগ্রিক উৎপাদন উৎপাদকের শ্বসনের জন্য ব্যয় হতে পারে , উৎপাদক মৃত এবং ধ্বংস হতে পারে অথবা শাকাশী কর্তৃক ভক্ষিত হতে পারে । শাকাশী প্রাণীতে এই আত্তীকরণ খাদ্য — কার্বোহাইড্রেট , প্রােটিন অথবা ফ্যাট হিসাবে সঞ্চিত হতে পারে অথবা শাকাশীর দেহে আরও জটিল জৈব অণুতে পরিবর্তিত হতে পারে । এই পরিবর্তনের জন্য প্রয়ােজনীয় শক্তি শ্বসন কার্যের দ্বারা সরবরাহ হয় । শাকাশীর এই সঞ্চিত শক্তি আবার তিনভাবে ব্যয়িত হয় । নিজের শ্বসনের নিমিত্ত , নিজের মৃতদেহ ব্যাকটিরিয়া কর্তৃক পচিত হতে পারে অথবা অন্য মাংসাশী প্রাণী তাকে ভক্ষণ করতে পারে । 

উৎপাদক / উদ্ভিদ ( প্রাথমিক উৎপাদক ) ⟶ শাকাশী ( ১ ম খাদক ) ⟶ প্রাথমিক মাংসাশী ( গৌণ বা ২ য় খাদক ) ⟶ গৌণ মাংসাশী ( ৩ য় খাদক )

প্রাথমিক মাংসাশী প্রাণী ( ২ য় খাদক ) শাকাশী প্রাণীকে ( প্রাথমিক খাদক ) ভক্ষণ করে আবার প্রগৌণ মাংসাশী প্রাণী ( ৩ য় খাদক ) ২ য় খাদককে ভক্ষণ করতে পারে । সুতরাং প্রগৌণ খাদকের শক্তি শাকাশীর দেহ থেকে প্রাপ্ত হয় আবার শাকাশী তার শক্তি পায় উৎপাদক থেকে । গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খলের এই যে ক্ৰমিক পর্যায় এটির প্রতি স্তরকে খাদ্যস্তর ( trophic level ) বলে । যেমন

গ্রেজিং খাদ্য শৃঙ্খলের তাৎপর্য 

জীব সম্প্রদায়ের মধ্যে শক্তির প্রবহণ এবং প্রবহণের দিক নির্ণয়ে খাদ্যশৃঙ্খল উল্লেখযােগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে । এই পদ্ধতিতে যেকোনাে খাদ্যস্তরের শক্তির পরিমাণ , একটি খাদ্যস্তর থেকে আর একটি খাদ্যস্তরে শক্তির প্রবহণ এবং গ্রেজিং খাদ্যশৃঙ্খল থেকে বিনষ্টের পরিমাণ , সহজেই নির্ণয় করা যায় । উৎপাদক → শাকাশী → মাংসাশী এই খাদ্যশৃঙ্খলকে প্রিডেটর খাদ্যশৃঙ্খল বলে । ঠিক এই প্রকার আরও একটি খাদ্যশৃঙ্খলের নাম পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খল । পরজীবী খাদ্যশৃঙ্খলে ক্ষুদ্র জীব বৃহৎ জীবকে এমনভাবে ভক্ষণ করে যাতে বৃহৎ জীব বা পােষক কখনও মরে না যায় । কিন্তু প্রিডেটার শৃঙ্খলে এক স্তর আর এক স্তরকে নিধন করে ভক্ষণ করে । 

error: Content is protected !!