স্বপরাগযোগ কাকে বলে
Contents
স্বপরাগযোগ কাকে বলে
কোনাে ফুলের পরাগধানী থেকে উৎপন্ন পরাগ সেই ফুলের বা সেই গাছের অন্য কোনাে ফুলের গর্ভমুন্ডে স্থানান্তরকে স্বপরাগযোগ বলে । উদাহরণ – দোপাটি , সন্ধ্যামালতী , রঙ্গন , কুমড়ো প্রভৃতি।
স্বপরাগযোগ উভলিঙ্গ ফুলেই ঘটে । কিন্তু বহুসংখ্যক উভলিঙ্গ ফুলে নানা কারণে ইতর পরাগযােগ ঘটে । যেমন – রাস্না ।
স্বপরাগী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
( i ) সহবাসী উদ্ভিদে স্বপরাগযোগ ঘটে ।
( ii ) ফুলের পরাগধানী.ও গর্ভদন্ড একই সময়ে পরিণত হয় ।
( iii ) ফুলগুলি আংশিক বা সম্পূর্ণ অনুন্মীলিত হতে পারে ।
( iv ) একই ফুলে অথবা একই উদ্ভিদের দুটি ফুলের মধ্যে পরাগযােগ ঘটে ।
( v ) সাধারণত উভলিঙ্গ ফুলের মধ্যে পরাগযােগ ঘটে ।
( vi ) এই ধরনের পরাগযােগে পরাগরেণুর অপচয় কম ঘটে ।
( vii ) নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদ বা নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হয় না ।
( viii ) নতুন উদ্ভিদে ক্রমশ গুণগতমান কমতে থাকে ।
( ix ) স্বপরাগযােগে উৎপন্ন বীজের অঙ্কুরণ হার কম বলা যায় ।
স্বপরাগযোগের সুবিধা ও অসুবিধা
স্বপরাগযোগের সুবিধা :
( i ) কোনাে বাহকের প্রয়ােজন সাধারণত হয় না ।
( ii ) পরাগযােগের নিশ্চয়তা অনেক বেশি ।
( iii ) পরাগরেণু নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে না ।
( iv ) মিশ্রিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় না অর্থাৎ প্রজাতির বিশুদ্ধতা বজায় থাকে ।
( v ) ফলে উৎপন্ন বীজ থেকে একই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত উদ্ভিদ সহজেই তৈরি করা যায় ।
স্বপরাগযোগের অসুবিধা :
( i ) স্বপরাগযােগে উৎপন্ন ফলের বীজ থেকে যে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি হয় তা দুর্বল প্রকৃতির হয় ।
( ii ) বীজের অঙ্কুরণের হার কম ।
( iii ) নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন উদ্ভিদ গঠিত হয় না ।
( iv ) ক্রমশ অবলুপ্তির পথে অগ্রসর হয় ।