পত্রবিন্যাস কাকে বলে
Contents
পত্রবিন্যাস কাকে বলে

উদ্ভিদে যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পাতাগুলি কান্ড বা শাখার পর্বে সাজানাে থাকে তাকে পত্রবিন্যাস বলে ।
সব পাতা প্রয়ােজনীয় সূর্যালোেক পেয়ে জৈবনিক কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে পারার জন্য পত্রবিন্যাস ব্যবস্থা । কান্ডের পর্বে পাতাগুলি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিন্যাসিত না হলে একে অপরকে ছায়াবৃত করত অর্থাৎ সব পাতা সমানভাবে সূর্যালােক পেত না । পত্রবিন্যাসকে প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত করা হয় , যেমন — ( i ) সর্পিল ( Alternate ) , ( ii ) অভিমুখ ( Opposite ) এবং ( iii ) আবর্ত ( Whorled ) ।
সর্পিল বা একান্তর পত্রবিন্যাস
এই বিন্যাস পদ্ধতিতে কান্ড বা শাখার প্রত্যেকটি পর্ব থেকে একটি করে পাতা উৎপন্ন হয়ে কান্ডের চারদিকে সর্পিল ভাবে সাজানাে থাকে । আবার প্রত্যেকটি পর্বে একটি করে পাতা উৎপন্ন হয়ে পাতাগুলি কান্ড বা শাখার উপর একে অন্যের সঙ্গে একান্তভাবে সাজানাে থাকে বলে একে একান্তর পত্রবিন্যাসও বলা হয় । উদাহরণ — জবা ( hibiscus rosa sinensis ) ।
প্রতিমুখ পত্রবিন্যাস
এখানে কান্ড বা শাখার প্রত্যেকটি পর্বে দুটি পরস্পর বিপরীতমুখী পাতা উৎপন্ন হয় । এই পত্রবিন্যাসকে দু’ভাগে বিভক্ত করা হয় , যেমন— ( a ) প্রতিমুখ উপরিপন্ন ( Superposed ) , ( b ) প্রতিমুখ তির্যকপন্ন ( Decussate )
প্রতিমুখ উপরিপন্ন পত্রবিন্যাস :
প্রত্যেকটি পর্বের প্রতিমুখ পাতা জোড়া উপরের ও নীচের পর্বের পাতাগুলির সঙ্গে একই তলে সমান্তরালভাবে সাজানাে থাকে । উদাহরণ — পেয়ারা ( Psidium guajava ) , মাধবীলতা ( Hiptage benghalensis ) প্রভৃতি ।
প্রতিমুখ তির্যকপন্ন পত্রবিন্যাস :
প্রত্যেকটি পর্বের প্রতিমুখ পাতা জোড়ার ঠিক উপরের ও নীচের পর্বের পাতাগুলির সঙ্গে এক সমকোণ সৃষ্টি করে অবস্থান করে । উদাহরণ — আকন্দ ( calotropis procera ) ।
আবর্ত পত্রবিন্যাস
কান্ড বা শাখার প্রত্যেকটি পর্বে তিনটি বা তিনের বেশি পাতা আবর্তাকারে সাজানাে থাকে । উদাহরণ — করবী ( Nerium indicum ) , ছাতিম ( Alstonia scholaris ) ।