শ্বাসমূল কাকে বলে
শ্বাসমূল কাকে বলে

লবণাম্বু উদ্ভিদের কিছু শাখাপ্রশাখা মূল শ্বাসক্রিয়ার জন্য মাটির কণার অন্তর্বর্তী স্থানে অবস্থিত বায়ু গ্রহণ করে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত মাটিতে বাতাস না থাকায় শ্বাসকার্যের সুবিধার্থে অভিকর্ষের বিপরীতে খাড়াভাবে মাটির ওপরে উঠে আসে ; তাকে শ্বাসমূল বা নিউমাটোফোর বলে । শ্বাসমূলের গায়ে অবস্থিত শ্বাস ছিদ্র ( Breathing pore ) এর মাধ্যমে শ্বসনের প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন গৃহীত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বর্জিত হয় । উদাহরণ — সুন্দরী ( Heritiera fomes ) , গরান ( ceriops roxburghiana ) ইত্যাদি । আমাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ 24 পরগণা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে এসব উদ্ভিদ দেখা যায় ।
শ্বাস মূলের বৈশিষ্ট্য
শ্বাসমূলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল一
( i ) মাটির নীচে কিছু শাখামূল শ্বাসপ্রশ্বাসের সুবিধের জন্য মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে । এই মূলগুলিকে নিউম্যাটোফোর ( pneumatophores ) বলে ।
( ii ) মূলগুলির শীর্ষে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে । এদের শ্বাসছিদ্র ( Breathing pore ) বলে ।
( iii ) এই ছিদ্রপথে বায়ুর আদানপ্রদান চলে ( অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড ) ।
( iv ) মূলগুলিকে প্রতিকূল অভিকর্ষী বলা যায় । কারণ মাটির নীচে না গিয়ে উপরের দিকে উঠে আসে ।
শ্বাসমূলের কাজ
ছিদ্রপথে বাতাস প্রবেশ করে শ্বাসকার্যে সাহায্য করে ।