শ্বাসমূল কাকে বলে

শ্বাসমূল কাকে বলে 

Screenshot ২০২১০৬১১ ১৫০১১৪
শ্বাসমূল কাকে বলে

লবণাম্বু উদ্ভিদের কিছু শাখাপ্রশাখা মূল শ্বাসক্রিয়ার জন্য মাটির কণার অন্তর্বর্তী স্থানে অবস্থিত বায়ু গ্রহণ করে এবং সমুদ্র উপকূলবর্তী লবণাক্ত ও কর্দমাক্ত মাটিতে বাতাস না থাকায় শ্বাসকার্যের সুবিধার্থে অভিকর্ষের বিপরীতে খাড়াভাবে মাটির ওপরে উঠে আসে ; তাকে শ্বাসমূল বা নিউমাটোফোর বলে । শ্বাসমূলের গায়ে অবস্থিত শ্বাস ছিদ্র ( Breathing pore ) এর মাধ্যমে শ্বসনের প্রয়ােজনীয় অক্সিজেন গৃহীত হয় এবং কার্বন ডাই অক্সাইড বর্জিত হয় । উদাহরণ — সুন্দরী ( Heritiera fomes ) , গরান ( ceriops roxburghiana ) ইত্যাদি । আমাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ 24 পরগণা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে এসব উদ্ভিদ দেখা যায় ।

শ্বাস মূলের বৈশিষ্ট্য 

শ্বাসমূলের বৈশিষ্ট্যগুলি হল一

( i ) মাটির নীচে কিছু শাখামূল শ্বাসপ্রশ্বাসের সুবিধের জন্য মাটি ভেদ করে উপরে উঠে আসে । এই মূলগুলিকে নিউম্যাটোফোর ( pneumatophores ) বলে । 

( ii ) মূলগুলির শীর্ষে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে । এদের শ্বাসছিদ্র ( Breathing pore ) বলে । 

( iii ) এই ছিদ্রপথে বায়ুর আদানপ্রদান চলে ( অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড ) । 

( iv ) মূলগুলিকে প্রতিকূল অভিকর্ষী বলা যায় । কারণ মাটির নীচে না গিয়ে উপরের দিকে উঠে আসে । 

শ্বাসমূলের কাজ 

ছিদ্রপথে বাতাস প্রবেশ করে শ্বাসকার্যে সাহায্য করে ।

error: Content is protected !!