অস্থানিক মূল কাকে বলে
Contents
অস্থানিক মূল কাকে বলে

ভ্রূণমূল থেকে উৎপন্ন হয়ে উদ্ভিদের অন্য কোনাে অঙ্গ থেকে যে মূল উৎপন্ন হয় তাকে অস্থানিক মূল বলে । এবং এইপ্রকার মূলতন্ত্রকে অস্থানিক মূলতন্ত্র ( adventitious root system ) বলা হয় । স্থান ও প্রকৃতি অনুযায়ী অস্থানিক মূল বিভিন্ন প্রকারের হয় ,যেমন – i. গুচ্ছ মূল ( Fibrous root ) ii. পত্ৰজ মূল ( Foliar root ) iii. কান্ডজ মূল ( Cauline root ) ।
গুচ্ছ মূল
প্রধান মূল মাটিতে ঢােকার পর কিছুদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায় । ভ্রূণমূল ও ভ্রূণমুকুলের সংযােগস্থল থেকে অসংখ্য সরু সরু অস্থায়ী মূল বেরিয়ে এসে মূলের মতাে কাজ করতে থাকে । এদের সেমিনাল মূল ( Seminal root ) বলে । সেমিনাল মূল কিছুদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে কান্ডের গােড়া থেকে ছােটো ছােটো মূল গুচ্ছাকারে জন্মায় । এদের গুচ্ছ মূল বলে । এই ধরনের মূল একবীজপত্রী উদ্ভিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য । উদাহরণ – ধান ( Oryza sativa ) , গম ( Triticum aestivum ) , ভুট্টা ( Zea mays ) প্রভৃতি ।
পত্ৰজ মূল
পাতা থেকে মূল সৃষ্টি হলে তাকে পত্ৰজ মূল বলে । কয়েকটি উদ্ভিদের পাতা কিছুদিন মাটির সংস্পর্শে থাকলে পাতার কিনারা থেকে মূল বেরিয়ে আসে তা হল পত্ৰজ বা পত্ৰাশ্রয়ী মূল ( Foliar root ) । এই জাতীয় মূল বর্ষাকালে বেশি দেখা যায় । উদাহরণ — পাথরকুচি ( Bryophyllum calycinum ) ।
কান্ডজ মূল
কান্ড থেকে উৎপন্ন মূলকে কান্ডজ মূল বলে । বটগাছের ( ficus benghalensis ) কান্ড থেকে মূল সৃষ্টি হয়ে মাটির দিকে নেমে আসে । একে স্তম্ভমূল ( Prop root ) বলে । তাছাড়া কেয়া ( pandanus tectorius ) ও গজপিপুল ( Scindapsus officinalis ) কান্ড থেকেও মূল উৎপন্ন হতে দেখা যায় । ভুট্টা ( Zea mays ) , আখ ( saccharum officinarum) , গোলাপ ( Rosa centifolia ) , জবা ( hibiscus rosa sinensis ) , গাঁদা ( Tagetes patula ) প্রভৃতি উদ্ভিদের কান্ড মাটিতে পুঁতে দিলে কিছুদিনের মধ্যে অস্থানিক মূল উৎপন্ন হয় ।