দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ
Contents
দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের কান্ডের প্রস্থচ্ছেদ

একটি কচি সূর্যমুখী কান্ডের পাতলা প্রস্থচ্ছেদ কেটে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে পর্যবেক্ষণ করলে তার মধ্যে নিম্নরূপ কলাবিন্যাস লক্ষ করা যাবে—
ত্বক কলাতন্ত্র
এদের কান্ডের বাইরে একস্তর বিশিষ্ট প্যারেনকাইমা কলার ত্বক বর্তমান । ত্বকের উপরে পুরু কিউটিকলের আবরণ বর্তমান । ত্বকে বহুকোশী রােম আছে । ত্বক কলাতন্ত্রে কোশগুলি ঘনসন্নিবিষ্ট থাকে ।
আদি কলাতন্ত্র
সূর্যমুখী কান্ডে আদি কলাতন্ত্র ত্বকের নীচে থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে । এই কলাতন্ত্র অধঃস্ত্বক , সাধারণ বহিঃস্তর , অন্তঃত্বক , বান্ডিল টুপি , মজ্জা ও মজ্জারশ্মি নিয়ে গঠিত ।
( i ) অধঃস্ত্বক — এটি ত্বকের নীচে কয়েকস্তর কোলেনকাইমা কলা দ্বারা গঠিত হয় ।
( ii ) সাধারণ বহিঃস্তর — এটি অধঃস্ত্বকের ভিতর থেকে অন্তস্ত্বক পর্যন্ত বিস্তৃত এবং প্যারেনকাইমা কলা দ্বারা গঠিত । এই কলায় আন্তঃকোশীয় রন্ধ্র থাকে । এই প্যারেনকাইমা কলার মধ্যে রজন নালী থাকে ।
( iii ) অন্তস্ত্বক — একস্তরবিশিষ্ট পিপাকৃতি প্যারেনকাইমা কোশ দ্বারা এটি গঠিত । দ্বিবীজপত্রীর কান্ডের এই স্তরের কোশে শ্বেতসার জমা হয় বলে একে বলে শ্বেতসার আবরণী ।
( iv ) বান্ডিল টুপি — শ্বেতসার আবরণীর ভিতরে ফ্লোয়েম কলার উপরে একগুচ্ছ স্ক্লেরেনকাইমা কোশ থাকে । নালিকা বান্ডিলের মাথায় টুপির মতাে থাকে বলে এদের একত্রে বান্ডিল টুপি বলে ।
( v ) মজ্জা ও মজ্জারশ্মি — কান্ডের কেন্দ্রীয় অংশে কোশান্তর রন্ধ্র যুক্ত প্যারেনকাইমা কলা মজ্জা গঠন করে । দুটি নালিকা বান্ডিলের ফাঁকে বিস্তৃত মজ্জার অংশকে মজ্জারশ্মি বলে ।
সংবহন কলাতন্ত্র
বান্ডিল টুপির ভিতর দিকে জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলা দিয়ে গঠিত নালিকা বান্ডিল থাকে — জাইলেম ও ফ্লোয়েম -ই সংবহন কলাতন্ত্রের অংশ । ফ্লোয়েম পরিধির দিকে এবং জাইলেম কেন্দ্রের দিকে থাকে । এখানে জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মাঝে ভাজক কলা বা ক্যাম্বিয়াম থাকে ; একে বলে ফ্যাসিকুলার ক্যাম্বিয়াম ।