ভাইরাসের শ্রেণীবিভাগ
Contents
ভাইরাসের শ্রেণীবিভাগ
প্রধানত পােষক নির্বাচন , আকৃতি , রাসায়নিক গঠন ও রােগ সংক্রমণ ক্ষমতা প্রভৃতির উপর নির্ভর করে ভাইরাসের শ্রেণীবিভাগ করা যায় । বিভিন্ন প্রকার শ্রেণীবিন্যাস নীচে দেওয়া হল ।
পােষক নির্বাচন ( Host selection )
পােষকের উপর নির্ভর করে ভাইরাসকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় , যেমন—
উদ্ভিদ ভাইরাস :
যে সব ভাইরাস উদ্ভিদ দেহে রােগ সৃষ্টি করে এবং বংশ বিস্তার করে তাদের উদ্ভিদ ভাইরাস বলে । উদাহরণ – টোবাকো মোজাইক ভাইরাস , বিন মোজাইক ভাইরাস , আলুর এক্স ভাইরাস প্রভৃতি ।
প্রাণী ভাইরাস :
যে সব ভাইরাস প্রাণী দেহে রােগ সৃষ্টি করে এবং বংশ বিস্তার করে তাদের প্রাণী ভাইরাস বলে । উদাহরণ – পোলিও ভাইরাস , হাম ভাইরাস , মাম্পস ভাইরাস , ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রভৃতি ।
ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস :
এই ভাইরাসের পােষক হল ব্যাকটেরিয়া । এরা ব্যাকটেরিয়ার দেহে বংশ বিস্তার করে । উদাহরণ – ফাজ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিওফাজ ।
ভাইরাসের আকৃতি ( Shape of viruses )
আকৃতির উপর নির্ভর করে ভাইরাসকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায় , যেমন —
( i ) গােলাকার ভাইরাসের উদাহরণ — পোলিও ও জাপানি এনসেফালাইটিস ভাইরাস ।
( ii ) দন্ডাকার ভাইরাসের উদাহরণ — টোবাকো মোজাইক ভাইরাস ।
( iii ) ডিম্বাকার ভাইরাসের উদাহরণ — মাম্পস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ।
( iv ) ঘনক্ষেত্ৰকাকার ভাইরাসের উদাহরণ — বসন্ত রোগের ভাইরাস ।
( v ) শুক্রাণু বা ব্যাঙাচি আকারের ভাইরাসের উদাহরণ — ব্যাকটেরিওফাজ ।
নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রকৃতি ( Nature of Nucleic acid )
নিউক্লিক অ্যাসিডের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে ভাইরাস দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত , যেমন —
( i ) ডিঅক্সি ভাইরাস — DNA যুক্ত বেশির ভাগ প্রাণী ভাইরাস ।
( ii ) রাইবােভাইরাস— RNA যুক্ত বেশির ভাগ উদ্ভিদ ভাইরাস ।
DNA ভাইরাস :
উদ্ভিদ ভাইরাস – ফুলকপির মোজাইক ভাইরাস ।
প্রাণী ভাইরাস – বসন্ত ভাইরাস , মাম্পস ভাইরাস , হার্পিস ভাইরাস , এনসেফালাইটিস ভাইরাস ।
ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস – লামডাফাজ ও ব্যাকটেরিওফাজ ।
RNA ভাইরাস :
উদ্ভিদ ভাইরাস – টোবাকো মোজাইক , বিন মোজাইক , পি মোজাইক ভাইরাস ।
প্রাণী ভাইরাস — পোলিও ভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ।
DNA ও RNA উভয় যুক্ত ভাইরাস :
লিউকো ভাইরাসে প্রজননিক বস্তু RNA , কিন্তু পােষকের দেহকোশে প্রবেশ করার পর প্রজননিক বস্তু DNA- তে রূপান্তরিত হয় ।