জীবন বিজ্ঞান

বহিঃকোশীয় ভিরিয়ন এবং অন্তঃকোশীয় ভিরিয়ন

Contents

বহিঃকোশীয় ভিরিয়ন এবং অন্তঃকোশীয় ভিরিয়ন 

বহিঃকোশীয় ভিরিয়ন

ফাজ ভাইরাস প্রথমে উপযুক্ত ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে আসে এবং পুচ্ছতন্তু ও কাঁটার অগ্ৰপ্রান্ত দিয়ে ব্যাকটেরিয়ার কোশের সঙ্গে আবদ্ধ হয় । এর পর ফাজ ভাইরাসের পুচ্ছের প্রান্তফলক থেকে লাইসোজাইম উৎসেচকের সহায়তায় ছিদ্র তৈরি করে DNA ব্যাকটেরিয়ার দেহে যায় এবং ভাইরাসের দেহ আবরণী পােষক কোশের বাইরে থেকে যায় এবং পরে সেটি বিনষ্ট হয় । একে বহিঃকোশীয় ভিরিয়ন বলে ।

অন্তঃকোশীয় ভিরিয়ন 

ফাজ ভাইরাসের DNA অংশ যা ব্যাকটেরিয়ার দেহে ঢােকে তাকে অন্তঃকোশীয় ভিরিয়ন বলে ।

বহিঃকোশীয় ভিরিয়ন এবং অন্তঃকোশীয় ভিরিয়ন এর পার্থক্য

বহিঃকোশীয় ভিরিয়ন :

1. নিউক্লিক অ্যাসিড সমন্বিত ক্যাপসিড । 

2. পােষক কোশে প্রবেশ করে না । 

3. প্রজননিক বস্তু নয় । 

4. প্রতিলিপি গঠন করে না । 

5. প্রােটিন দিয়ে তৈরি । 

6. বিনষ্ট হয় ।

অন্তঃকোশীয় ভিরিয়ন :

1. ক্যাপসিড বিহীন নিউক্লিক অ্যাসিড । 

2. পােষক কোশে প্রবেশ করে । 

3. প্ৰজননিক বস্তু । 

4. প্রতিলিপি গঠন করে । 

5. নিউক্লিক অ্যাসিড দিয়ে তৈরি । 

6. বিনষ্ট হয় না ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!