জীববিজ্ঞানে অ্যারিস্টটল এর অবদান
জীববিজ্ঞানে অ্যারিস্টটল এর অবদান

এথেন্সের এই প্রখ্যাত মানুষটি প্রাচীন জ্ঞান , বিজ্ঞান ও দর্শনের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা ছিলেন । তাঁকে পৃথিবীর সবদেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী , দার্শনিক এবং চিন্তানায়কদের অন্যতম রূপে বর্ণনা করা হয় । অ্যারিস্টটলের জন্ম হয় খ্রিস্টপূর্ব 384 অব্দে , ম্যাসিডােনিয়ায় । তার পিতা নিকোমেকাস ছিলেন ম্যাসিডনরাজ দ্বিতীয় ফিলিপের চিকিৎসক সভাসদ । পিতার কাছেই তিনি শল্যবিদ্যা শিক্ষা করেন । পরে এথেন্সে এসে প্লেটোর কাছে শিক্ষা লাভ করেন ।
348 অব্দ পর্যন্ত এথেন্সে অধ্যয়ন করে অ্যারিস্টটল এথেন্স পরিত্যাগ করে বন্ধু থিওফ্রেস্টাসের আহ্বানে লেসবস দ্বীপের কাছে মিটিলনে আসেন । এখানে থাকাকালেই তিনি জীববিদ্যা এবং প্রাণীবিদ্যার বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করেন । তিনি প্রাণীদের গঠনগত জটিলতার উপর ভিত্তি করে সমগ্র প্রাণীদের সরল থেকে জটিল পর্যায়ে বিভাজিত করেন । তাঁর বিভাজনের সবথেকে নীচে আছে সরলতম জীব এবং সবথেকে উপরে আছে জটিলতম প্রাণী মানুষ । তাঁর অবদানের জন্য অ্যারিস্টটলকে জীববিদ্যার এবং প্রাণীবিদ্যার জনক হিসাবে সম্মানিত করা হয়।
অ্যারিস্টটলের বিশেষ অবদান—
1. প্রাণীদের শ্রেণিবিন্যাস ( সরল থেকে জটিল ) ।
2. প্রায় ৫০০ শত বিভিন্ন প্রাণীর নিখুঁত বর্ণনা ।
3. এদের মধ্যে ৫০ টি প্রাণী ব্যবচ্ছেদ করে অঙ্গ সংস্থানের বর্ণনা ।
4. প্রাণীবিদ্যাকে , প্রাণী বৃত্তান্ত , শারীর স্থান এবং প্রজনন ও ভূতত্ত্ব এই তিনটি শাখায় বিভক্ত করা ।
5. সেপিয়া ( Sepia ) নামক সামুদ্রিক মােলাস্কা পর্বের প্রাণীর ভ্রূণ বিকাশের বর্ণনা ।
6. মুরগি , ডলফিন , তিমি প্রভৃতির ভ্রূণের বিষয়ে তথ্য পরিবেশন ।