জীববিজ্ঞানে চরক এর অবদান
জীববিজ্ঞানে চরক এর অবদান

চরকের আবির্ভাব ঘটেছিল 100 খ্রিস্টপূর্বে । তিনি আত্রেয় প্রবর্তিত চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন । চরক প্রবর্তিত শ্রেষ্ঠ গ্রন্থটির নাম চরক সংহিতা ( Charak Samhita ) । এই গ্রন্থটি প্রকৃতপক্ষে চরকের পূর্বসূরি অগ্নিবেশ রচিত অগ্নিবেশ তন্ত্রের সম্প্রসারিত এবং সংশােধিত সংস্করণ । বৌদ্ধ গ্রন্থ ‘ ত্রিপিটক’অনুসারে চরক খ্রিস্টীয় প্রথম শতকে কনিষ্কের রাজবৈদ্য ছিলেন । যদিও এই সময়কাল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ আছে । চরকই প্রথমে পরিপাক ( digestion ) , বিপাক ( metabolism ) এবং অনাক্রম্যতা ( immunity ) সম্বন্ধে ধারণা প্রদান করেন । চরক মানুষের মধ্যে তিনটি দোষের কথা উল্লেখ করে বলেন যে , বিষয়গুলি যথা — বায়ু ( Wind ) , পিত্ত ( bile ) এবং কফ ( Phelgm ) ইত্যাদি বিভিন্ন প্রকার রােগ সৃষ্টির কারণ ।
এছাড়া মানুষের বংশগতি এবং লিঙ্গ নির্ধারণ সম্বন্ধে চরকের বিশেষ জ্ঞান ছিল । চরক মনে করতেন মানুষ এবং বিশ্ব ব্ৰহ্মান্ড উভয়ই পাঁচপ্রকার উপাদান দ্বারা গঠিত ।
চরকের মতে বিশ্ব ব্ৰহ্মান্ড গঠনের উপাদানগুলি হচ্ছে , ক্ষিতি ( Earth = ধরিত্রী ) ; অপ ( water = জল ) ; তেজ ( Fire = অগ্নি ) ; মরুৎ ( Air = বায়ু ) এবং ব্যোম ( Sky = আকাশ ) ।