আর্সেনিক দূষণের প্রভাব
আর্সেনিক দূষণের প্রভাব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO ) অনুসারে প্রতি লিটার জলে 0.01 মিলিগ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকলে তাকে আর্সেনিক-দূষিত জল বলে ধরা হয় । আর্সেনিক একপ্রকার ধাতব পদার্থ । এটি জলে দ্রবীভূত অবস্থায় থেকে জলের ধাতব দূষণ ঘটায় । পাললিক শিলার মধ্যে আর্সেনিক পাওয়া যায় এবং তা ভৌম জলে দ্রবীভূত হয়ে জল দূষণ ঘটায় । সাধারণত প্রতি কেজি পাললিক শিলায় 5-10 গ্রাম আর্সেনিক থাকে । পাললিক শিলায় প্রধানত দুভাবে আর্সেনিকের সঞ্চয় ঘটে—
( 1 ) বাতাসের অক্সিজেনের সাহায্যে জারণ বিক্রিয়ায় পাইরাইট আর্সেনিকে পরিবর্তিত হয় ।
( 2 ) আর্সেনিক সমৃদ্ধ আয়রন অক্সাইড ( FeOOH ) খনিজের সঙ্গে জীবাণুকূলের নিঃসৃত রাসায়নিকের মিশ্রণে খনিজ বিয়ােজিত হয় । তখন আর্সেনিক আলাদা হয়ে সঞ্চিত হয় ।
( 3 ) মনে করা হয় যে , কৃষিজমিতে ব্যবহৃত ফসফেট সার বিয়ােজিত হয়েও আর্সেনিকের সঞ্চয় ঘটায় ।
আর্সেনিক দূষণের ফলাফল বা প্রভাব
জলের মাধ্যমে শরীরে আর্সেনিক প্রবেশ করলে মানুষ আর্সেনিকোসিস রােগে আক্রান্ত হয় । ক্যান্সারের মতাে এটিও অনিরাময়যােগ্য ব্যাধি । এর ফলে শরীরে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তা হল—
( 1 ) ত্বক জুড়ে কালচে দাগ , বিশেষত পায়ের পাতার নীচের ত্বকে । এটি ব্ল্যাকফুট ব্যাধি নামে পরিচিত ।
( 2 ) ত্বকে চিড় ধরে , এমনকি ত্বকে ক্যান্সারও হয় ।
( 3 ) ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয় ।
( 4 ) পেশি-শৈথিল্য ও শক্তি সামর্থ্য নষ্ট হয় ।
So sweet answer