ভারতে বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
ভারতে বনভূমি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা

বনভূমি বিভিন্নভাবে আমাদের উপকার করে । বনভূমি থেকে সংগৃহীত হয় নানা ধরনের শক্ত ও নরম কাঠ এবং বিভিন্ন প্রকার উপজাত দ্রব্য । বনভূমির অভাবে বন্যা , অনাবৃষ্টি , ভূমিক্ষয় প্রভৃতি নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় । বনভূমি বৃষ্টি হতে সাহায্য করে । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনভূমির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ।
বনভূমি এত গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভারতে বনভূমির পরিমাণ খুবই কম । বর্তমানে দেশের মােট ভৌগােলিক আয়তনের শতকরা মাত্র ১৯.৪৭ ভাগ স্থানে বনভূমি আছে । অথচ পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে , দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ স্থানে বনভূমি থাকা প্রয়ােজন । অন্যথায় পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট হয়ে আমাদের দেশটি সম্পূর্ণভাবে মরুভূমিতে পরিণত হবে । বনভূমির এহেন গুরুত্ব থাকলেও ভারতে বনভূমির পরিমাণ ক্রমশই কমে আসছে । এজন্যই আমাদের দেশে বনভূমির সংরক্ষণ প্রয়ােজন এবং বর্তমানে বনভূমি সংরক্ষণের ওপর খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ।
ভারতে বনভূমি সংরক্ষণের উপায়
বনভূমির সীমাহীন উপকারিতার কথা চিন্তা করে বর্তমানে ভারতে বনভূমি সংরক্ষণের জন্য কতকগুলি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে , যেমন—
( ১ ) বনভূমির প্রসারের উদ্দেশ্যে বর্তমানে প্রতি বছর বর্ষাকালে বনমহােৎসবের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরােপণ করা হয় ।
( ২ ) যথেচ্ছভাবে বন-সংহার রােধের জন্য ১৯৮০ সাল থেকে বনভূমি সংরক্ষণ আইন চালু হয়েছে এবং ১৯৮৮ সালে একটি সংশােধনের মাধ্যমে আইনটিকে আরও কঠোর করা হয়েছে ।
( ৩ ) কীটপতঙ্গের আক্রমণ থেকে বনভূমিকে রক্ষা ,
( ৪ ) অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন রোধ ,
( ৫ ) বনভূমিতে পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে ।
( ৬ ) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বনভূমি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে উত্তরপ্রদেশের দেরাদুনে বন-গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তােলা হয়েছে ।
( ৭ ) সম্প্রতি কৃষি বনসৃজন ও সামাজিক বনসৃজনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে ।