উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদ নদীর পার্থক্য লেখ
উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদ নদীর পার্থক্য লেখ
উত্তর ভারতের নদ নদীর সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের নদ নদীর উৎসস্থল , প্রবাহপথ , মােহানা ইত্যাদির পার্থক্য অনেক । তাই উভয় এলাকার নদনদী সমূহের বৈশিষ্ট্যও এক প্রকার নয় , যেমন —
উত্তর ভারতের নদনদী
[ ১ ] সুউচ্চ হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে উৎপন্ন বলে নদীগুলি বৃষ্টির জল ও বরফগলা জলে পুষ্ট , তাই সারা বছর নদীগুলিতে জল থাকে ।
[ ২ ] নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকে বলে জলসেচের সুবিধা হয় ।
[ ৩ ] নদীগুলি দৈর্ঘ্যে খুব বড়াে ।
[ ৪ ] নদীগুলিতে সারা বছর জল থাকে এবং সমভূমিতে নদীর গতি কম , এজন্য নৌ-পরিবহনের উপযােগী ।
[ ৫ ] পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া সমভূমিতে নদীর স্রোত কম বলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের অনুকূল নয় ।
[ ৬ ] নদীগুলির অধিকাংশই নবীন এবং সমভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রায়ই গতি পরিবর্তন করে । এজন্য গতিপথে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ দেখা যায় ।
[ ৭ ] নদীগুলির উচ্চগতি , মধ্যগতি ও নিম্নগতি অধিকাংশ সুস্পষ্ট । এজন্য নদীগুলিকে আদর্শ নদী বলা যায় ।
[ ৮ ] পার্বত্য অঞ্চলে এগুলি খরস্রোতা । এজন্য ভূমিক্ষয় করে বেশি এবং ক্ষয়িত পদার্থগুলি সমভূমিতে সঞ্চয় করে ।
[ ৯ ] বড়াে বড়াে নদীগুলির উপনদী ও শাখানদী অনেক ।
[ ১০ ] নদীগুলির উপত্যকায় মৃত্তিকার গভীরতা খুব বেশি ।
[ ১১ ] নদীগুলি অনেকটা পথ পার্বত্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । পাবর্ত্য অঞ্চলে নদীর খাত খুব গভীর ।
দক্ষিণ ভারতের নদনদী
[ ১ ] শুধু বৃষ্টির জলে পুষ্ট । এজন্য শুষ্ক ঋতুতে অনেক সময় নদীতে জল থাকে না ।
[ ২ ] বাঁধ দিয়ে জল ধরে না রাখলে সারা বছর জলসেচ করা যায় না ।
[ ৩ ] নদীগুলি দৈর্ঘ্যে অপেক্ষাকৃত ছােটো ।
[ ৪ ] সারা বছর জল থাকে না এবং মালভূমির জন্য খরস্রোতা । তাই নৌ-পরিবহনযােগ্য নয় ।
[ ৫ ] অধিকাংশ পথ মালভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত বলে বেশিরভাগ নদী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযােগী ।
[ ৬ ] নদীগুলি প্রাচীন এবং গতিপথ পরিবর্তন করে না । এজন্য গতিপথে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি হয় না ।
[ ৭ ] গতিপথের বিভিন্ন পর্যায় অস্পষ্ট এবং তার মধ্যে সমতাও নেই । এজন্য আদর্শ নদী বলা যায় না ।
[ ৮ ] নদীগুলি প্রাচীন বলে ক্ষয় করার ক্ষমতা কম , এজন্য সঞ্চয়ও কম ।
[ ৯ ] বড়াে বড়াে নদীগুলির উপনদী ও শাখানদী কম ।
[ ১০ ] নদীগুলির উপত্যকায় মৃত্তিকা অগভীর ।
[ ১১ ] পার্বত্য উপত্যকার দৈর্ঘ্য কম এবং পার্বত্য অঞ্চলে নদীর খাত বিশেষ গভীর নয় ।
My sir thank you